গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ২ হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যু হল।
অপরদিকে, এই সময়ে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২ হাজার ৯২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন মোট ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি। বেশ কিছুদিন ধরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমায় রোগী কম শনাক্ত হলেও, শনাক্তের হারে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার ২১.৯১ শতাংশের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি, যার মধ্যে ১৯.৯২ শতাংশের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে শুরু থেকেই করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা নিয়ে নানামুখী বিতর্ক এখন জালিয়াতি ও ভুয়া টেস্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। নানা ভোগান্তি এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাধ্য না হলে অনেকেই পরীক্ষা করছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে যখন নমুনা পরীক্ষা বেশি হওয়ার কথা তখন জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে পরীক্ষার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুন মাসে একদিনে সর্বোচ্চ সাড়ে আঠারো হাজার পরীক্ষাও করা হয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে গড়ে ১৪ হাজার ২৮০টি নমুনা পরীক্ষা হলেও গত সপ্তাহে দেখা গেছে একদিনে নমুনা পরীক্ষা সর্বনিম্ন ১১ হাজারের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। জুলাই মাসে টেস্ট কমলেও সংক্রমণের হার এক পর্যায়ে প্রায় ২৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি ৪-৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে একজনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় গত ২১শে জানুয়ারি। সেই হিসেবে ১০ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করতে বাংলাদেশের প্রায় ছয় মাস সময় লাগলো।
গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এ রোগে মৃত্যুর কথা প্রথম ঘোষণা করা হয় ১৮ই মার্চ।