গণবাণী ডট কম:
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিণী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের আজ ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের আজকের দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন পিতা অধ্যাপক সৈয়দ সিরাজুল হক এবং মাতা কানিজ ফাতেমা ঘর আলোকিত করে তিনি ১৯৩২ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার অধ্যাপক পিতার সান্নিধ্য থেকে কিশোরী বয়স থেকেই সমাজকর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তিনি তাঁর স্বামী তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শ ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে দেশ ও মানুষের সেবায় আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি তাজউদ্দীন আহমদের অবর্তমানে নিজ সন্তানদের আগলে রাখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে তিনি দলের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হয়। ১৯৭৭ সালে আওয়ামী লীগের আহবায়ক নির্বাচিত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন।এ কারণে তিনি পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যার প্রতিবাদ করেন। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরার আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি মহিলা পরিষদ ও আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।