গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি কলোনিতে আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৬টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।
নিহতরা হলেন, মুন্নি বেগম (৩০) ও তাঁর স্বামী মিলন মিয়া (৪০)। তাঁদের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার সন্ধ্যাইলপুর গ্রামে। অন্য দুজন হলেন প্রতিবেশী ফরহাদ হোসেন (৩৮) ও আবদুল আউয়াল (৪০)। ফরহাদ হোসেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার সন্ধ্যাইলপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। আর আবদুল আউয়াল গাইবান্ধার জগন্নাথপুরের পলাশবাড়ী গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। ফরহাদ হোসেন ও আবদুল আউয়াল মুন্নি-মিলন দম্পতির পাশের কক্ষের ভাড়া থাকতো।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. কবীরুল আলম জানান, ‘ভোরে কালামপুর এলাকায় একটি বাসাবাড়িতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহত হন। আগুনে ওই কলোনির ৫০ থেকে ৬০টি ঘর পুড়ে গেছে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের স্টেশন অফিসার কবিরুল আলম বলেন, কালামপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর একজন ভাড়াটে ভোরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট আগুন আশপাশের তিনটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে সকাল সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। অন্যথায় লাশগুলো শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে তদন্তের পর তদন্ত শেষে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সকালে রান্না করতে গিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে, তদন্তের পর প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।