গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর সহায়তায় এক যুবতী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকবাহী একটি বাসের চালক ও স্বামীর বন্ধু বাস থামিয়ে বাসের ভেতর ওই যুবতীর ওপর নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের শিকার যুবতীর অভিযোগ, নির্যাতনের ঘটনায় নেপথ্য সহযোগী তাঁরই স্বামী।
গত শনিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার যুবতী আজ সোমবার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত ধর্ষকসহ তাঁর স্বামীকেও আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর অভিযুক্ত ধর্ষক ফারুক হোসেন (৩০) পালানোর সময় যুবতীর চিৎকারে টের পেয়ে গ্রামবাসী চলন্ত বাসের গতিরোধ করে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পর থেকে ওই যুবতীর স্বামী পলাতক রয়েছে।
আটক ফারুক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হযরত নগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
যুবতী জানান, মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে শ্রীপুরের চন্নাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। ফলে তাঁদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এরই জেরে গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী ফারুক হোসেনকে ফোন করে ডেকে আনেন। পরে ফারুকের সঙ্গে তাঁর স্বামী দীর্ঘসময় গোপনে কথা বলেন। এরপর রাত ১০টার দিকে বাসযোগে মাওনা চৌরাস্তা তাঁর বাবার বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ফারুকের সঙ্গে তাঁকে পাঠিয়ে দেন।
ওই যুবতী আরো জানান, ফারুক মাওনা চৌরাস্তায় তাঁকে নামতে না দিয়ে বেপরোয়াগতিতে বাস চালিয়ে কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের পাকা সড়কের পাশে একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর বাস থামায়। সেখানে বাসের ভেতর তাঁর ওপর নির্যাতন চালায় ফারুক। নির্যাতন শেষে ফের বাস চালিয়ে মাওনা চৌরাস্তায় তাঁর বাবার বাড়ির সামনে একটি সড়কে তাঁকে ফেলে দিয়ে বাস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ওই সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে সড়ক অবরোধ করে ফারুককে ধরে ফেলে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারসহ বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। নির্যাতনে সহায়তার অভিযোগে স্বামীকেও আসামি করেছেন ওই যুবতী। তাঁকে (স্বামী) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।