গণবাণী ডট কম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। এছাড়া এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি পরিদর্শন করবেন।
২৫ মার্চ প্রেরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-০১ মোহাম্মদ শামীম মুসফিক স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় জানানো হয়, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে রওনা হয়ে সকাল ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করে ১০টা ৪৫ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০টা ৫০ মিনেটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী গাছের চারা রোপণ করার সময় তিনি সাথে থাকবেন। বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
অন্যদিকে, বেলা ১১ টা ২৫ মিনেট নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়া থেকে কাশিয়ানীর ওড়াকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং ১১টা ৩৫ মিনিটে মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হরিচাঁদের ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছাবেন। এরপর তিনি সেখানে পূঁজা আর্চনা করবেন। পরে তিনি ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও মতুয়া নেতাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।পরে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে নরেন্দ্র মোদি হেলিকপ্টার যোগে কাশিয়ানি উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ি ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ও ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ব্যপক প্রস্তুতি। এসব এলাকায় নেওয়া হয়েছে চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ও ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়িতে নেওয়া হয়েছে চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে। নির্বিঘ্নে দুই প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।