গণবাণী ডট কম:
সত্তরের দশক থেকে ঢাকাই সিনেমায় তুমুল জনপ্রিয়, বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের সুপারস্টার ওয়াসিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। শনিবার দিবাগত রাত (১৮ এপ্রিল) ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যা গ করেন। মৃত্যু্কালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
সত্তর ও আশির দশকে রাজা, রাজপুত্র বলতে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ওয়াসিমকেই কল্পনা করতেন। কালজয়ী এই অভিনেতা ১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ চাঁদপুরের মতলবে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। মূলত ওয়াসিমের নেশা ছিলো বডি বিল্ডিংয়ে। ১৯৬৪ সালে বডি বিল্ডিংয়ের জন্য ‘মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান’খেতাব অর্জন করেছিলেন ওয়াসিম।
বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়াসিম৷
মোহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম নায়ক হিসেবে রূপালি পর্দায় আসেন নায়ক ওয়াসিম। সিনেমাটি ব্যবসাসফল হলে সুপারস্টার হয়ে উঠেন তিনি। এরপর ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন তিনি। ফোক ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশন ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা ছিলেন তিনি। অভিনয় জীবনে ১৫২টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- দ্য রেইন, ডাকু মনসুর, জিঘাংসা, কে আসল কে নকল, বাহাদুর, দোস্ত দুশমন, মানসী, দুই রাজকুমার, সওদাগর, নরম গরম, ইমান, রাতের পর দিন, আসামি হাজির, মিস লোলিতা, রাজ দুলারী, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, লুটেরা, লাল মেম সাহেব, বেদ্বীন, জীবন সাথী, রাজনন্দিনী, রাজমহল, বিনি সুতার মালা, বানজারান।
তিনি অলিভিয়া, অঞ্জু ঘোষ ও শাবানার সঙ্গে বেশি সংখ্যক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দি রেইন’ সিনেমায় নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া। এরপর ‘বাহাদুর’, ‘লুটেরা’, ‘লাল মেম সাহেব’, ‘বেদ্বীন’ সিনেমায় অলিভিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেন। ‘রাজ দুলালী’ ছবিতে শাবানার সঙ্গে অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলে। অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে অভিনয় করেছেন- ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবেহায়াত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রসের বাইদানী’সহ বেশকিছু সিনেমায়।