গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিনের উলুখোলা এলাকার কালিকুঠি গ্রামে সোমবার ভোররাতে গরু চুরি করার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ৬ চোর আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছেন। বাকীদের আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
তাৎক্ষনিকভাবে নিহতের (৪২) নাম পরিচয় জানা যায়নি।
গণপিটুনিতে আহতরা হলো, বগুড়ার জেলার সদর উপজেলার ক্ষেত্রদামা এলাকার বাবলার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা গেওনা ভিন্নত এলাকার আক্তারের ছেলে নাহিদ মিয়া (৩০), একই উপজেলার তাতভৈরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে হাসান আলী (৩০), নওগাঁর তেজনন্দী পাতবাইন এলাকার মান্নানের ছেলে গাজী হোসেন (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ফজর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৬)।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোররাতে কালীগঞ্জের উলুখোলা এলাকার কালিকুঠি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে কাউসারের বাড়ীতে চুরি করতে যায় একটি গরু চোর চক্র। এসময় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের ৬জনকে হাতে নাতে আটক করে। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর ডাক চিৎকারে আশপাশের শত শত লোক এসে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তাদের গণপিটুনি দিলে চল্লিশোর্ধ এক গরু চোর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর ৫ জন গুরুতর আহত হয়। খবর পয়ে কালীগঞ্জ থানা কালীগঞ্জ থানাধীন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে যান। পরে স্থানীয় নাগরী ইউপি চেয়ারম্যান অলিউল্লাহসহ অন্যদের সহায়তায় এলাবাসীকে শান্ত করেন। পুলিশ মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি চোরাই গরু ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম জানান, হাসপতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাকী আহতের চিকিৎসা চলছে। তবে আহতদের মধ্যে আলমগীর, নাহিদ ও গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।