গণবাণী ডট কম:
মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে সোমবার (৩ মে) ভোরে বাল্কহেডের (ছোট আকারের মালবাহী জাহাজ) সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি কাঁঠালবাড়ী (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে আসলে পদ্মা নদীতে নোঙর করা একটি বাল্কহেড এর পেছনে সজোরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। খবর পেয়ে নৌপুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজনকে আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কতজন বোটে ছিল তা জানা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলছে।’
লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে। তবে স্পিডবোটে আসলে কতজন যাত্রী ছিল, তা তারা তখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
নৌ পুলিশের আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, ”এরা অবৈধভাবে চুরি করে যাত্রী পরিবহন করে। এটাও মাওয়া থেকে সেভাবে যাত্রী আনছিল বলে ধারণা করছি।”
পদ্মা নদীতে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী পয়েন্টে এপার-ওপার করা স্পিডবোটগুলোতে আকারভেদে ১২ থেকে ২০ জন যাত্রী পারাপার করা হয়ে থাকে। কিন্তু বড় একটি স্পিডবোটে ২৫ জন পর্যন্ত যাত্রীও উঠানো হয় কখনো কখনো।
ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও দ্রুত নদী পারাপারের উদ্দেশ্যে বহু মানুষ স্পিডবোট বেছে নেয়।
এখন পর্যন্ত যে পরিমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি বড় আকারের স্পিডবোট ছিল এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীতে পূর্ণ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখনো বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে।