গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের গণমানুষের নেতা, প্রয়াত সংসদ সদস্য, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ৭ মে শুক্রবার। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাষ্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, এখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সংক্রামন এড়াতে সীমিত পরিসরে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। তাছাড়া আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা নিজ নিজ থানা ও ওয়াডে কার্যালয়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
দিনের কর্মসূচীর শুরুতে শুক্রবার গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, পবিত্র কোরআনখানি, কালোব্যাজ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ইফতার বিতরণ, আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে, টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেত এন্ড কলেজে ও টঙ্গী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে স্বরণ সভা,দোয়া ও ইফতার বিতরণ করা হবে।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তারই ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি। ২০০৫ সালের ১৬ মে এ হত্যা মামলায় আদালত দ্রুত বিচার আইনে মামলার রায় দেন। রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়।
আসামী পক্ষের আপিলের পর উচ্চ আদালত প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১১জন আসামীকে খালাস ও ৬জনকে মৃত্যু দন্ডের আদেশ প্রদান করে। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২ জন আসামীর মৃত্যু হয়। এ মামলার ১০ জন বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।