গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের গণমানুষের নেতা, প্রয়াত সংসদ সদস্য, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ৭ মে শুক্রবার যথাযথ মর্যাদার সাথে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে ছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ইফতার, তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে দলীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকেলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ইফতার, তবারক বিতরণ ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ফাতেহা পাঠ করেন মরহুমের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
শুক্রবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলক এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ্যাডবোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহি উদ্দিন মহি, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়াসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তারই ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি। ২০০৫ সালের ১৬ মে এ হত্যা মামলায় আদালত দ্রুত বিচার আইনে মামলার রায় দেন। রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়।
আসামী পক্ষের আপিলের পর উচ্চ আদালত প্রধান আসামী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১১জন আসামীকে খালাস ও ৬জনকে মৃত্যু দন্ডের আদেশ প্রদান করে। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২ জন আসামীর মৃত্যু হয়। এ মামলার ১০ জন বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।