গণবাণী ডট কম:
আলোচিত শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী র্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আজ র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা একদিনের রিমান্ড শেষে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুননাহারের আদালতে হাজির করেন। সেখানে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) শুভাশিষ ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গত ৭ এপ্রিল শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। তারপর র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের দায়ের করা মামলাটির প্রথমে বাসন থানা পুলিশ তদন্ত করছিল। এ মামলায় বাসন থানা পুলিশ ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড নিয়ে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিগ্যাসাবাদ করেছিল।
বাসন থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর এডাল্ট কনটেন্ট বা অশ্লীল পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়।
তখন জিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উক্ত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর এডাল্ট কনটেন্ট অশ্লীল পর্নো দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। একারণে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরে মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজমুল হক মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত কাজের অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে রফিকুল ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে একদিনের রিমান্ডে এনে জিগ্যাসাবাদ করা হয়। আজকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে ফেরত দেয়ার আগে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে পুনরায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরে তার বিরুদ্ধে একই আইনে জিএমপির বাসন থানায় আরও একটি এবং ডিএমপির তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।