আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
ঢাকা-কাপাসিয়া সড়কের গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের অংশে বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের জন্য গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের একপাশে ৪ ফুট প্রসস্থ ড্রেন নির্মাণ করেছে। কিন্তু ড্রেনটি সচল না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় পথচারী ও আশপাশের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দুর্ভোগ তা বাড়ছে দিন দিন। আগামী দিনে বিদ্যালয় খুলা হলে শিক্ষার্থীদেরও এ দূর্ভোগের শিকার হতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ঢাকা-কাপাসিয়া সড়ক হতে শীতলক্ষা নদীর উপর নিমির্ত ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এসে দুই ভাগ হয়ে একভাগ চলে গেছে উপজেলার টোক হয়ে কিশোরগঞ্জ এবং ঘাগুটিয়া হয়ে নরসিংদীর দিকে। অপরভাগ এসেছে কাপাসিয়া বাজার হয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে। এটি মুলত কাপাসিয়া উপজেলার প্রধান সড়ক। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ কয়েক বছর আগে সড়কটি প্রশস্ত করে সড়কে উন্নয়ন কাজ করে। সে সময় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের উত্তর পাশে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছিল। ড্রেন দিয়ে যাতে পানি নিস্কাশিত হয় সেজন্য ড্রেনের দিকে সড়কের ঢাল রাখা হয়। ড্রেনটি সড়কের কাপাসিয়া ডাকবাংলার মোড় থেকে শুরু হয়ে কাপাসিয়া বাজার হয়ে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় গেটের কাছে থাকা কালভার্ট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু ড্রেন নির্মাণের ত্রুটি, অনেক স্থানে ড্রেনের তলদেশের ঢাল উচু নীচু হওয়া, ময়লা জমে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়া, ড্রেনটির শেষ মুখে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা কারণে ড্রেনটি এখন কাজ করছে না। একারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের অর্ধেক জুড়ে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মার্কেটের থাই ব্যবসায়ী ফরিদ খান জানান, বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সড়কটির পাশ দিয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। সেই ড্রেন ময়লা পড়ে বন্ধ থাকার কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যবশত সেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখন কোন কাজে আসছে না। মহামারী করোনার কারনে বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ রয়েছে। শুনতেছি খুব শীগ্রই নাকি স্কুল খুলে দেয়া হবে। আজকে কিছু ছাত্র স্কুলে এসে রাস্তা পার হতে গিয়ে ভিজে বাড়ি ফিরেছে। এখন বর্ষাকাল শুরু হয়েছে থাকবে আরো কয়েক মাস। এরই মধ্যে যদি স্কুল খোলা হয়ে যায় আর রাস্তার মধ্যে যদি এরকম পানি থাকে ছেলেমেয়েরা এ পানির উপর দিয়ে রাস্তা পারাপার হবে কিভাবে? সেই সথে আশেপাশে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছে। সড়কের বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে অনেকে পানি পার হয়ে দোকানে আসতে চায় না।
জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়ে আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা সড়ক ও ড্রেনটি তৈরি করেছিল। তারা বলেছে, সড়কটির ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে এবং তারা পরিষ্কার করে দিবে। তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। তিনি আরো বলেন, এর স্থায়ী সমাধানের জন্য সড়কের ড্রেন বর্ধিত করে উপজেলা পরিষদের পাশ দিয়ে সাফাইশ্রী নদীর ঘাটের দিক দিয়ে নিয়ে নদীতে নামাতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।