গণবাণী ডট কম :
দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার এবং ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ঢাকার চারপাশের সাতটি জেলায় মঙ্গলবার ভোর ছটা থেকে শুরু হচ্ছে লকডাউন।
জেলাগুলো হচ্ছে: গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে যে লকডাউন দেয়া হয়, তার শুরুতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা থাকলেও পরে কার্যত এই ব্যবস্থাটি ভেঙ্গে পড়ে।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম যখন এই সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছিলেন, তখন তিনি ‘ব্লক’ শব্দটি উল্লেখ করেন। যদিও এই মুহূর্তে দেশে সরকারি ভাষায় একটি ‘বিধিনিষেধ’ চালু আছে, যেটার কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। পরে এক সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটাকে “করোনাভাইরাস জনিত রোগের বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ” বলে অভিহিত করা হয়।
এ লক ডাউন মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বুধবার (৩০ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এ সময়ে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা , কোভিড ১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস/জ্বালানি,ফায়ার সার্ভিস বন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট,গণমাধ্যম বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ ,তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব তার বক্তব্যে উ্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন “যদি কোন লোকাল অথরিটি মনে করে তাদের লকডাউন করা দরকার সেটা তারা করতে পারে। সেই অথরিটি তাদের দেয়া হয়েছে”। তবে ঢাকা জেলা নিয়ে অতি শিগ্রি কোন সিদ্ধান্ত আসবে না বলে তিনি জানান।
এই সাত জেলায় কী কী বন্ধ থাকছে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।”
এসব জেলায় সরকারি অফিসগুলো কীভাবে চলবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে।”
এছাড়াও করোনার সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যাদের মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন আগে থেকেই চলছে।