গণবাণী ডট কম:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘পৃথিবীতে শুদ্ধাচারের শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে শুদ্ধাচারের পথপ্রদর্শন করা হয়। শিক্ষক নিজে ক্লাশে যা পড়াবেন সেটিই হবে ওই সমাজের শুদ্ধাচারের প্রতীক। শিক্ষক যা করবেন সেটি হবে সমাজে শুদ্ধাচারের বাস্তব উদাহরণ।’
তিনি গত বুধবার (৩০ জুন) রাতে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনদেরকে নিয়ে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘ইনটিগ্রিটির প্রধান ক্ষেত্র হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমাদের মাধ্যমেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শিখবে। এটাই সমাজের একটা সেট নরমস। সুতরাং এটার দায়বদ্ধতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ওপর বেশি পরে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের যে শুদ্ধাচার সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখা উচিত শিক্ষক যে সম্মান পায় সেটা তো সমাজের অন্য পেশার মানুষ পায় না। শিক্ষক অন্যের কাছে বিশেষ করে শিক্ষার্থীর কাছে যেরকম মডেল সেরকম তো সমাজে আর নেই। তাহলে আমাদের শূন্যতা কোথায়? দরিদ্রতা কোথায়? ক্লাশরুমে একেক জন শিক্ষক যেন একেকজন হিরো। এপিএ, ইনটিগ্রিটি, সিটিজেন চার্টার যাই বলি না কেন, একজন শিক্ষকের ক্লাসরুম তাঁর পবিত্র প্রাঙ্গণ। আমাদের অভাব, অভিযোগ, প্রতিবন্ধকতা, না পাওয়ার বেদনাবোধ অনেক আছে। কিন্তু আমাদের তথা শিক্ষকদের যা আছে সেটি অনেক পেশার মানুষের নেই। বেতনের মাপকাঠিতে যদি বলেন তাহলে আমরা হয়তো পিছিয়ে আছি। কিন্তু মর্যাদার মাপকাঠিতে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। প্রাইমারি থেকে বিশ^বিদ্যালয়- সকল শিক্ষকরা সমাজে অনেক বেশি পূজনীয়। এটি সমাজ এখনো ধারণ করে।’