গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে এক সন্তানের জনক এক যুবককে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদি হয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো: মুকুট মিয়া (২৬)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার সাদুয়া মারহাট এলাকার মো: রওশন আলীর ছেলে। তিনি মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিক্সা চালান। তার স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
জিএমপি কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শুভাষ ধর জানান, ভিকটিম কিশোরী মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় বাবা মায়ের সাখে ভাড়া বাসায় বসবাস করে। বাবা এবং মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করার কারণে দিনের বেলায় কিশোরী বাসায় একা থাকতো। গ্রেফতার মুকুট মিয়াও একই বাসার এলাকার পাশাপাশি ঘরে ভাড়ায় থাকে। এ সুযোগে মুকুট মিয়া কিশোরীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ ঘটনা জেনে কিশোরীর পরিবার বাড়ীওয়ালার কাছে নালিশ জানালে বাড়িওয়ালা অভিযুক্তকে সাবধান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত মুকুট বাইমাইল এলাকা থেকে বাসা বদল করে স্থানীয় কাদের মার্কেটে এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তারপরেও সে কিশোরীরর সাথে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতো। গত ৫ জুলাই মুকুট মিয়ার স্ত্রী বাসায় ছিল না। অপরদিকে কিশোরীর বাবা মাও বাসায় ছিল না। এ সুযোগে সে কিশোরীকে ফুসলিয়ে তার বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি পরিববারকে জানালে কিশোরীর পরিবার নিরুপায় হয়ে অভিযুক্ত মুকুট মিয়াকে কিশোরীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিয়েতে মুকুট মিয়া রাজি না হলে স্থানীয়দের সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।
শুভাষ ধর আরো জানান, মামলার পরে পুলিশ মুকুট মিয়াকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির করে। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা খাতুনের আদালতে সে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে কিশোরীর ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।