গণবাণী ডট কম:
রাজধানী লাগোয়া শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর মহানগরীতে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে রোববার পোশাকশ্রমিকদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। দিন মহানগরীর চারটি পোশাক কারখানার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে এই টিকা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় গাজীপুর মহানগরীর
কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা পোশাক কারখানায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। একই সময়ে অপর তিনটি কারখানাতেও গণ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়টি শনিবার রাতে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা: খাইরুজ্জামান।
সিভিল সার্জন আরো জানান, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক
মতবিনিময় সভা করেন। সভায় লকডাউন বাস্তবায়নে কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি আলোচিত হলে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন গাজীপুরে পোশাক কারখানাগুলোতে পর্যায়ক্রমিকভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। যে কারখানায় টিকা দেওয়া হবে সে কারখানার সমস্ত শ্রমিককে একই সময়ে টিকা প্রদান করা হবে। এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামীকাল রোববার।
তিনি আরো জানান, প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের জন্য শ্রমিকদের কোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, তবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পূর্বে তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে শ্রমিকদের প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের জন্য এনআইডি সংগ্রহ করে একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রথম পযায়ে চারটি পোশাক কারখানায় রোববার টিকা প্রদান করা হবে সেগুলি হল, গাজীপুর মহানগরীর বিসিক শিল্প এলাকা কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তুসূকা ডেনিম ও তুসুকা অ্যাপারেলস, লক্ষীপুরা এলাকার স্প্যারো অ্যাপারলেস লিমিটিড, ভোগড়া এলাকার রোজ গার্ডেন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, আগামীকাল সকাল ৯ টায় কোনাবাড়ীতে তুসুকা ডেনিম কারখানায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। একই সময়ে অপর কারখানাগুলোতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে।
রোববারই প্রায় ১০ হাজার পোশাক শ্রমিককে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে চূড়ান্ত হবার পর আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ঈদের আগে এই কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব কিনা। তারপর আমি জানালাম যে এটি সম্ভব এবং সে কারণেই রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত পোশাকশ্রমিকদের গণ টিকাদান শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা ভেবেছি ঈদের আগে যদি কিছু শ্রমিককে বাড়ি যাবার আগে টিকা দেওয়া যায় তাহলে মন্দ নয়। পর্যায়ক্রমে গাজীপুরে অন্যান্য পোশাক কারখানাতে পোশাকশ্রমিকদের টিকা দেয়া হবে।