গণবাণী ডট কম:
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরণের অফিস আদালত, শিল্প কল কারখানা বন্ধ রেখে যে ‘কঠোর লকডাউন’ চলমান রয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প ও কল-কারখানাকে তার আওতামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে যে ১লা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প ও কল-কারখানা চলমান ‘বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত’ থাকবে।
গত ২৩শে জুলাই থেকে পুরো দেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয় এবং এর আওতায় সরকার সব ধরনের শিল্প ও কল-কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
তবে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ রপ্তানির স্বার্থে পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে মালিকদের ওই দাবি নাকচ করে দেয়া হয়।
তবে, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে একই দাবি নিয়ে আবার দেখা করে। এরপর আজ শুক্রবার সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হলো। আজ শুক্রবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এই ঘোষণা এমন একটি সময় এলো যখন দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ শুক্রবারসহ চলতি সপ্তাহের গত ৬ দিনেই মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন দুশো’র বেশি ছিল।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে গত ২৩শে জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ই অগাস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত সময়ের জন্য নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।
এর আগে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে পহেলা জুলাই থেকে আরোপ করা এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ পরে আরেক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ই জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছিল।
এরপর ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য ১৪ই জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩শে জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৫ আগস্টের পরও কঠোর বিধিনিষধ বহালের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। (৩০ জুলাই) অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা কেবিনেট মিটিংয়ে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’ এর মধ্যেই ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হলো। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য।