গণবাণী ডট কম :
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার ল্যাবে পিসিআর মেশিনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় করোনা শনাক্তের পরীক্ষার বন্ধ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার ল্যাবটি ভাইরাস মুক্ত করে পুনরায় নমুনা পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাব প্রধান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ল্যাব ও পিসিআর মেশিনের যন্ত্রাংশে গত সোমবার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে আসার পর গত মঙ্গলবার থেকে করোনা নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এখন ঢাকায় নমুনা পাঠিয়ে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তাজউদ্দিন মেডিকেলের পিসিআর মেশিনে একসাথে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। প্রতিদিন গড়ে দুই শিফটে এখানে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত সোমবার বিকেলে পিসিআর মেশিনে ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১১৫টি নমুনায় পজেটিভ ও ৮টি নমুনায় নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষার এ ফলাফল নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে পরীক্ষা করে পিসিআর টিউবে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলে আমাদের সন্দেহ সঠিক প্রতিয়মান হয়। তারপর আমরা এখানে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রেখে সংগৃহীত সকল নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি নিজেদের চেষ্টায় ল্যাবটি ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব হবে। তা না হলে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ এনে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যন্ত্রাংশ এবং ল্যাবটি সম্পূর্ণ জীবানু মুক্ত করে শুক্রবার থেকে আবার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ জুন পিসিআর মেশিনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের চেষ্টায় বিজিএমইএ থেকে বিকল্প হিসাবে একটি মেশিন এনে গাজীপুরে করোনার নমুনা পরীক্ষা চালু করা হয়েছিল।
জেলায় যখন করোনা সংক্রমণ ব্যাপরভাবে বাড়ছে তখন ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। গত মঙ্গলবার জেলায় ৫০৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ১৩১ জনের। তাদের মধ্যে পজিটিভ ফল এসেছে ৯৬ জনের। তার আগের অর্থাৎ ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগের ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৭৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪৩ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।