গণবাণী ডট কম:
সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও লকডাউনে বাস্তবায়নে মহাসড়কে তেমন তৎপরতা চোখে পড়ে না। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেড়েছে সব ধরণের যানবাহন চলাচল। দুই মহাসড়কের সকল যানবাহন গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মিলিত হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছে। ফলে আজ শনিবার বিভিন্ন সময়ে ঢাকা-ময়শনসিংহ মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান চলাচল বেড়ে গেছে। এছাড়া বেড়েছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল। বিভিন্ন শিল্প ও পোশাক কারখানা খোলা থাকায় বেড়েছে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের চলাচল। ফলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাসসহ আশেপাশের এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, সড়ক-মহাসড়কে চেকপোষ্টে শিথিলতার কারণে বিনা বাধায় রাজধানীতে প্রবেশ করছে বিপুল সংখ্যক গাড়ি। কাঁচা বাজার, মাছের বাজারে ও অলিগলিতে বেড়েছে মানুষের ভিড়। তবে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও বিপণি বিতান। লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ ছাড়াও সেনা, বিজিবি ও র্যা বের টহল রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও মিডিয়া) মো: জাকির হাসান বলেন, আমরা এখনো কোন গণ পরিবহণ চলতে দিচ্ছি না। পোশাক কারখানাগুলো খোলা থাকায় তাদের কর্মকর্তা ও শ্রমিক পরিবহণের যানবাহনগুলো সড়কে চলাচল করছে। একারণে সড়কে গাড়ীর চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। একারণে মহাসড়কে কোথাও কোথাও নির্দিষ্ট সময়গুলো যানবাহনের চাপ বেড়ে গতি কমে যেতে পারে।
এদিকে, লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগে দূরপাল্লার ৩৫টি বাস আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান, চলমান লকডাউনে দিনের বেলায় চেকপোষ্টে গন পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে রাতের বেলায় চেকপোষ্টে কিছুটা শিথিলতার সুযোগ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া নিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে এমন খবরে হাইওয়ে পুলিশ চন্দ্রা মোড় ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। পরে রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৫ টি বাস আটক করা হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।