নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
ঢাকা-কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক শরিফ মমতাজ উদ্দিন কলেজের সামনে ড্রাম ট্রাকের চাপায় এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে একটার দিকে দুর্ঘটনটি ঘটেছে। চাপা দিয়ে ড্রাম ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
নিহত রিকশাচালক মো. আঙ্গুর মিয়া (৬০) টোক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে। আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
নিহতের ছেলে মোহন মিয়া জানান, টোক বাজারে আমার টেইলার্সের ব্যবসা আছে। দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার আগমুহূর্তে ফোনে খবর পাই যে ওইখানে সড়কে দুর্ঘটনায় এক রিকশাচালক মারা গেছেন। গিয়ে দেখি বাবা আর বাবার রিক্সাটা পড়ে আছে। ততক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। রাতে প্রায় ১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। লোকজন না থাকায় কোন গাড়িচাপা দিয়ে গেছে তা জানা যায়নি তবে কেউ কেউ বলছে ড্রাম ট্রাক ছিল তাও শনাক্ত করা যায়নি। বাবার টুকরো-টুকরো শরীরের অংশ খুঁজে খুঁজে একত্র করে রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গতকাল বুধবার সকাল দশটায় জানাজা নামাজ শেষে তাঁকে দাফন করেছি।
কাপাসিয়া থানার টোক ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, একটি প্রাইভেটকার এই দুর্ঘটনাটি দেখে ৯৯৯ ফোন দেয়। তারপর আমরা জানতে পারি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রিক্সা ও রিক্সা চালক পড়ে রয়েছে। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায় টোক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মো. আঙ্গুর মিয়া। আঙ্গুর মিয়া টোকের উজুলী দিঘীরপাড় এলাকা থেকে যাত্রী নামিয়ে টুকের দিকে সুলতানপুর তার বাড়িতে ফিরতে ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। গভীররাত ও লোকজন না থাকায় ড্রাম ট্রাকটি শনাক্ত করা যায়নি। পরে মৃতদেহ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে। ড্রাম ট্রাকটিকে খুঁজে বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।