গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে করোনার নমুনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গাজীপুরের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার লুবনা কলেজ কেন্দ্রে করোনার পরীক্ষার জন্য তার নমুনা প্রদান করে। পরে এক দিনের মধ্য তার নমুনার রিপোর্ট এনে দেওয়ার কথা বলে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নমুনা সংগ্রহকারী তার কাছ থেকে অতিরিক্ত আটশত টাকা নেয়। কিন্তু তার কাছ থেকে রিপোর্ট আনতে গেলে রিপোর্ট দিতে তালবাহানা করতে থাকে। অথচ নমুনা পরীক্ষা করতে সরকার নির্ধারিত একশত টাকা নেওয়ার কথা।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, সোমবার ফের রিপোর্ট আনতে কেন্দ্রে গেলে বিলকিস আক্তার নামে নমুনা সংগ্রহকারী তাকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখায়। পরে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার অভিভাবক এবং ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানকে অবহিত করে। শিক্ষার্থী দাবী করে, ওই দিন তার সামনে আরো দুই জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত আটশত টাকা করে নিয়েছে। এ ঘটনায় সে সোমবার বিকালে গাজীপুরের সিভিল সার্জনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এদিকে কয়েকজন ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন, ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্যাম্পল সংগ্রহকারী ও অফিস সহায়ক মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে দ্রুত রিপোর্ট এনে দেয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। তারা যথা সময়ে রিপোর্টও এনে দিতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটে।
এ বিষয়ে চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয় বলে তার কাছে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে তাদের মৌখিক সতর্কও করা হয়েছিল।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ খায়রুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যায় জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংশ্লিশ্ট ব্যক্তিকে আমার অফিসে ডেকেছি। তার বক্তব্য শুনে প্রয়োজনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবহিত নন। টাকা পয়সা নেয়ার ব্যাপারে তার তার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
কেন্দ্রের স্যাম্পল সংগ্রহকারী বিলকিস আক্তার জানান, অভিযোগ মিথ্যা। কেউ আমাকে কোন টাকা-পয়সা দেয়নি। তাছাড়া টাকা নেওয়া বা এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এ জন্য আলাদা লোক ও বিভাগ রয়েছে।