গণবাণী ডট কম::
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় অপহরণ করে মুক্তিপেণের দাবীতে অপহৃতকে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবী করে আংশিক মুক্তিপণ আদায়ের পর খবর পেয়ে মহানগর পুলিশ শুক্রবার অপহৃতকে উদ্ধার করেছে। এঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
অপহৃত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহিম। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার কালপানি বাজার এলাকার আ: সামাদের ছেলে। তিনি মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করে এবং কন্ট্রাকে অর্ডার সরবরাহ করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার নেওয়ারগাছা এলাকার মো: মনির হোসেনের ছেলে মোঃ আফজাল হোসেন (৪৩), একই থানার ডুবাইল এলাকার হারেজ আলীর ছেলে মোঃ সোহেল রানা (২২), একই থানার চৌবাড়ীয়ার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আছাদুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে মকবুল হসেম রনি (২৯) ও মোঃ বকুল মিয়ার ছেলে মোঃ বাবু হোসেন (২০)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও মিডিয়া) মো: জাকির হাসান জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন বিসিক এলাকার গার্মেন্টস কর্মী আব্দুর রহিম। তাকে ২৪ আগস্ট মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষে অপহরণ করে তার এক সময়ের সহকর্মী আফজাল ও তার সহযোগীরা। আফজাল পূর্ব পরিচরে সূত্র ধরে কন্ট্রাক্টের কাজের অর্ডার আছে বলে গত ২৪ আগস্ট রহিমকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কড্ডা ব্রীজের পশ্চিম পাশে ময়লার স্তুপের পাশে আসতে বলে। পরে সেখানে এলে সাদা রংয়ের হাইয়েস গাড়িতে তুলে রহিমকে অপহরণ করা হয়।
পরে অপহরনকারী চক্র রহিমের মোবাইল দিয়ে কল করে এবং নির্যাতনের ভিডিও করে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরে রহিমের আত্মীয় স্বজন তিনবারে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু তাতেও রহিম বাদশার মুক্তি না পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার এ সংক্রান্তে কোনাবাড়ী থানা একটি অপহরণ মামলা রুজু হয়। মামলা হওার ৫ ঘন্টার মধ্যে উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও মিডিয়া) মো: জাকির হাসানের ত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জনাব রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোনাবাড়ি জোন) এবং সুভাশীষ ধরের অংশগ্রহণে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় আব্দুর রহিমকে অক্ষত উদ্ধার করা হয়। এসময় সহ ৫ জন আসামী গ্রেফতার এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ী ও নির্যাতনের ভিডিও রেকর্ডের কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।