গণবাণী ডট কম::
শিশুটির নাম সুমন্ত মিয়া। বয়স মাত্র ৭ বছর। ঠিকমতো নাম ছাড়া নিজের ঠিকানা তেমন কিছু বলতে পারে না। কিন্তু বুক ভরা অভিমান। একটু শাসন করার কারণে মায়ের সাথে অভিমান করে শেরপুর থেকে চলে আসে গাজীপুরের কোনাবাড়ী। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে অনেক খোঁজাখুজি করে শিশুটির অভিভাবকদের খুজে তাকে বুঝিয়ে পুনরায় ফেরত পাঠিয়েছে।
জিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোনাবাড়ি জোন) সুভাশীষ ধর জানান, গত ২৬ আগস্ট গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম শিল্প এলাকায় কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে অভিভাবকহীন অবস্থায় একটি শিশুকে পায় কোনাবাড়ি থানা পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তার নাম সুমন্ত (৭)। সে তার মায়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকাগামী বাসে উঠে কোনাবাড়ী চলে এসেছে। সে শুধু থানার নাম বলতে পারে। সে জানায় তার থানার নাম শ্রীবরদি। পরে পুলিশ শেরপুর জেলার শ্রীবরদি থানার সাথে যোগাযোগ করে। আরো জানতে পারে সেখানে একটি শিশু হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। তা থেকে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয় শিশু সুমন্ত মিয়া (৭)। সে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার তাতীহাটি নয়াপাড়া এলাকার রুহুল আমীন ও শিরিণ বেগমের সন্তান। কিন্তু তারা আসতে দেরী এবং শিশুটি তার মায়ের কাছে কোনভাবেই যাবে না। এমনকি কথাও বলবে না। তাই পুলিশ শিশুটির নানা ও নানীর সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হয়। ভিডিও কলে শিশুটি তার নানীকে শরীরের মারধরের চিহ্ন দেখিয়ে জানায়, দেখ আম্মু আমাকে কিভাবে মেরেছে। আমি আর আম্মুর কাছে যাব না। পরে পুলিশ তাকে বুঝিয়ে রাজী করায়, তাকে তার মায়ের কাছে যেতে হবে না। সে তার নানা নানীর কাছে থাকবে। সেখানেই তাকে পাঠানো হবে। পরে শুক্রবার শিশুটির মামা মোঃ আসাদ কোনাবাড়ী এসে শিশুটি নিজ জিম্মায় গ্রহণ করে নিয়ে যান।