গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২০ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে বোর্ড বাজার এলাকায় সিটি করপোরেশনের গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র ও নগরপিতা এ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
২০১৮ সালে মেয়র জাহাঙ্গীরের প্রথম বাজেট ছিল ২৪০ কোটি টাকা।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিজবুর রহমান কাজল, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।
বাজেটে রাস্তা ঘাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে মূল বাজেটের ৯৩ ভাগ এই খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মশক নিধন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কল্যাণমুলক নানা কর্মকান্ডে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেটে বক্তৃতায় মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশের সর্ব বৃহৎ সিটি করপোরেশনে এবার অনেক বড় বাজেট হিসেবে ২০ হাজার ৯৮৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য জনগণ সহ সকলের সহযোগিতা চাইছি।
মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশের অন্য যে কোন সিটি কর্পোরেশন থেকে এ বাজেট সবচেয়ে বড়।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে গাজীপুর সিটিতে কোন মাস্টার প্ল্যান ছিল না। এবারই প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের তত্বাবধানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থা, সরকার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বাজেটের এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে।
মেয়র বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ১০টি অঞ্চলে ১০টি খেলার মাঠ ও ১০টি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজেন্দ্রপুর থেকে টঙ্গী ও পুবাইল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ১২ লেনের রাস্তা নির্মাণ হবে। এই রাস্তায় রেল লাইনের উপর ৫টি ফ্লাইওভার গড়ে তুলা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন এলাকার খাল ও নদী খনন করে স্থায়ীভাবে বন্যা প্রতিরোধ করা হবে।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেয়র বলেন, ২০১৮ সালে যে কমিটমেন্ট দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি বাস্তবায়ন করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামকে শহর করার কাজ করছি। অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করায় আমার লক্ষ। চলমান মহামারিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে বলে মেয়র জানান। গাজীপুর মহানগরের জনগনের সেবায় ৪ শত বলান্টিয়ার কাজ করছে। এদের বেতন-ভাতা সরকারিভাবে দেয়া হচ্ছেনা । ব্যাক্তি উদ্যোগে এদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, কোন কিছুই গোপন নয় প্রকাশ্যে করা হবে। প্রতিটি কাজ করার পূর্বে সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হবে। সাংবাদিক ও সুশিল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। চলমান সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু রেখে যেতে চাই ।
বাজেট অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, রাজনৈতিক, সুশিল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।