গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় এক ভন্ডপীরের দ্বারা এক নারী মুরীদ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর ভন্ডপীর পালিয়ে গেলেও কোনাবাড়ী মেট্রো থানা পুলিশ ভন্ডপীরের সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।
ভন্ডপীরের নাম মাসুদ মিয়া (৫০)। তার বাড়ী টাঙ্গাইল জেলায়। আর তা সহযোগীর নাম সাগর আলী। তিনি গাজীপুর মহানগীর কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ভন্ডপীর পলাতক রয়েছে। থানায় মামরা দায়েরের পর গত মঙ্গলবার রাতে ভন্ডপীরের সহযোগী সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, গাজীপুর মহানগরীর আমবাগ এলাকায় এক ভন্ডপীর মাসুদ মিয়া ধর্মের নামে তালিম দিয়ে থাকেন। এ কাজে তার সহযোগী সাগর আলী। লোকমুখে শূনে ঐ ভন্ডপীরের কাছে তালিম নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন এক নারী। সাগর আলী তাকে গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে তালিম নেয়ার জন্য মাসুদের বাসায় আসতে বলেন। পরে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে মাসুদের বাসায় যান। রাত ১১ টার দিকে তালিম শুরুর আগে মাসুদের সহযোগী ওই নারীকে একটি পান খেতে দেন। একই সময়ে কৌশলে উক্ত নারীর স্বামীকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। পান খাওয়ার পরে উক্ত নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় ভন্ডপীর তালিম নিতে আসা ঐ নারীকে ধর্ষণ করে। পরে উক্ত নারীর স্বামী ফিরে এসে স্ত্রীকে অজ্ঞান দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন। এসময় তিনি ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় ভন্ডপীর মাসুদ তার সহযোগী সাগরের সহযোগীতায় সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় উক্ত নারী নিজে বাদী হয়ে থানায় গত মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ দায়েরের পর ভন্ডপীরের সহযোগী সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক ভন্ডপীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।