গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে বন্দি থেকেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নূর হোসেন। ঘটনা প্রকাশ পেলে গত ৫ জানুয়ারি নুর হোসেনের কনডেম সেল থেকে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শনিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আব্দুল জলিল।
কারাসূত্র জানায়, আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভাতিজা শাহ জালাল বাদল এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নূর হোসেনের ছোট ভাই নূর উদ্দিন কাউন্সিলর পদে প্রতিদন্বন্ধিতা করছে। তাদের দু’জনের প্রতীকই ঠেলাগাড়ি। নির্বাচনে তাদেরকে জেতাতে কারাগারের কনডেম সেল থেকেই মোবাইল ফোনে নির্বাচনী কাজ তদারক করছিলেন নূর হোসেন।
কারাসূত্র আরো জানায়,কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কনডেম সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার ফাঁসির আসামির সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নূর হোসেন কনডেম সেলে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। পরে সেখানে গত ৫ জানুয়ারি অভিযান চালানো হয়। কনডেম সেল থেকে একটি মিনি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
জেল সুপার আব্দুল জলিল আরো জানান, কারাগারে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে তার নামে কারাবিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে কারাগারের ভেতর মোবাইল আনা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী পাঁচ দিনের (১১ জানুয়ারির মধ্যে) মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।
এ কমিটির সভাপতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর উপতত্ত্বাবধায়ক ও জেলার উম্মে সালমা, সদস্য সচিব ডেপুটি জেলার নুরুল মবিন এবং সদস্য প্রধান কারারক্ষী মোঃ আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।