নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দী এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রবাস ফেরত স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোন বাদী না থাকায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃতরা হলো- কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) ও তার স্ত্রী পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদশি গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে নূর নাহার (২৮)।
মৃত রুবেলের মা আকলিমা জানান, রুবেল তার একমাত্র সন্তান। প্রায় ১২ বছর আগে তাকে বিয়ে করিয়েছেন। তার দুটি ছেলে রয়েছে। সে ১৫ দিন আগে মালেশিয়া থেকে প্রায় তিন বছর পর দেশে এসেছে। আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। নূর নাহার বাবার বাড়িও চলে গিয়েছিল। পরে রুবেলের বাবা ফেরত নিয়ে আসে। কিছুদিন ভালই কাটছিল। গত রাতে এক সঙ্গে সবাই রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। ঘরে আলো জ্বলতে দেখে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেলেকে ডেকে না ঘুমানোর কারণ জানতে চাই। সে তখন বলেছে মোবাইলে নাটক দেখে। বৃহস্পতিবার সকালে নূর নাহার ছেলেকে মক্তবেও নিয়ে গেছে।
প্রাথমিক সুরতহাল নির্ণয়কারী ও স্থানীয়রা জানান, নুর নাহার ফজরের আযানের সময় তার সন্তান কে মসজিদে দিয়ে আসছে। এতো সকালে কোনদিন দিয়ে আসেনাই। মসজিদ থেকে এসে নুরুন নাহার ফাঁস নিছে, লাশ দেখে তাই মনে হচ্ছে। আর রুবেলের লাশ দেখে মনে হচ্ছে মধ্যরাতে ফাঁস নিয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, রুবেল রাতেই গলায় রশি প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তার মরদেহ শক্ত হয়ে গেছে। অপরদিকে নূর নাহার মক্তব থেকে ফিরে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে হয়তো নিজেও ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় রশি প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।