গণবাণী ডট কম:
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটিতে নাড়ীর টানে দেশের বাড়ীতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। সড়ক, রেল ও নৌপথে রাজধানীসহ নিজ নিজ কর্মস্থলমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে।
এ বছর বেশির ভাগ ট্রেনে সূচি-বিপর্যয় না হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ যাত্রী। তবে, সড়ক পথে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা অনেক যাত্রী ফেরিঘাটে তিন থেকে চার ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ার কথা জানিয়েছেন। এদিকে, সড়ক পথে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে।
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিঘাটে সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির অতিরিক্ত চাপ দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও ১৫৩ টি স্পীড বোট চলাচল করছে। যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে লঞ্চে ও স্পিডবোটের পাশাপাশি ফেরি কুমিল্লা, কুঞ্জলতা, মিনি রো-রো সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া ও রো-রো ফেরি এনায়েতপুরী মোট ৫ টি ফেরী ২৪ ঘন্টা বাংলাবাজার- শিমুলিয়া নৌপথে চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীরা কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ‘দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী তুলে ঘাট থেকে ছাড়া হচ্ছে। আজ যাত্রীদের চাপ একটু বেশি। যাত্রীদের চাপ সামলাতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করেছেন।’
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেরিতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রতিটি ফেরিতে মোটরসাইকেলের চাপ আরও বেশি। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’