নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর):
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন রিয়াজউদ্দিন সুমন (৩৭) নামে এক রাইড শেয়ারিং কর্মী। তিনি সদর ইউনিয়নের কান্দানিয়া গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দিনের ছেলে। পিতা উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মচারী থাকায় তারা উপজেলা সদরের সাফাইশ্রী এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় তিন বছর যাবৎ সুমন নিজের একটি মটর সাইকেল দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে আসছিলেন। গত সোমবার চাঁদরাতে প্রায় তিনটা পর্যন্ত সুমনের সাথে তার স্ত্রী শাহনাজের (২৯) যোগাযোগ ছিল। তখনো তিনি যাত্রী নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে মোবাইল ফোনে তাকে জানিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর থেকে তাকে আর মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঈদের দিন সকালে উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মোবাইল ফোনে তাদেরকে সুমন মারাত্মক আহত হয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান। তারা সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একাধিকবার অস্ত্রোপাচার করা হলেও তার অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয় নি। পরে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার সময় তার মৃত্যু হয়।
ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে আড়ালিয়া ভূইয়া বাজার এলাকায় ছুরিকাহত অবস্থায় একজন অচেতন যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনগণ তাকে জানায়। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সহযোগিতায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও তার মটর সাইকেলটি পড়েছিল। তার মাথা, গলায় ও বুকে ছুরির এলোপাথারী আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে তিনি তাদের প্রতিহত করতে চাইলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম নাসিম জানান, এ বিষয়ে নিজতের স্বজনদের থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।