গণবাণী ডট কম:
লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) তাওয়াফের মাধ্যমে হজব্রত পালনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেখান থেকে হজযাত্রীরা মিনায় পৌছেনে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা মিনায় অবস্থায় করবেন। মিনায় অবস্থান করা পবিত্র হজের অংশ। আগামীকাল শুক্রবার ভোরে মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য তারা যাবেন বিদায় হজের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত আরাফাতের ময়দানে।
আরাফাতের ময়দানেই মহানবি হজরত মোহাম্মদ (স.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেলাইবিহীন শুভ্র এক কাপড়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়।
সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন হাজিরা।
১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি, (অনেকেই মিনায় না পারলে মক্কায় ফিরে গিয়ে পশু কোরবানি দেন) মাথা ন্যাড়া করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত।
মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন এবং প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। ৬৫ বছরের নিচের বয়সী এবং দুই ডোজ টিকা গ্রহণকারীরা এবার হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
১০ লাখ হাজির মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক। এদিন জোহর ও আসরের নামাজ শেষ করে হাজিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তারা বিভিন্ন অপরাধের স্বীকারোক্তি এবং অপরাধ স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। তারা নিজের জন্য, পিতামাতা, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন। এ বছর শুক্রবার হজ হচ্ছে। শুক্রবার সপ্তাহের সবচেয়ে মর্যাদার দিন। সুতরাং এ বছর যারা হজ করছেন, তারা অতি সৌভাগ্যবান।
হজ শেষে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ৪ আগস্ট।