গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে রাত ১১টার পর তাকওয়াসহ জেলার অভ্যন্তরের আঞ্চলিক যাত্রীবাহি পরিবহন চলবে না। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা। ।
গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি গাজীপুরে একটি যাত্রীবাহি বাসে যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পর যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা রাত ১১টার পর থেকে গাজীপুর জেলার আভ্যন্তরিণ সকল সড়ক-মহাসড়কে আঞ্চলিক যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে জেলার অভ্যন্তরে সকল সড়ক-মহাসড়কে জেলার আভ্যন্তরিণ কোন যাত্রীবাহি যানবাহন চলবে না। তিনি আরো বলেন, এ সিদ্ধান্ত গত পাঁচদিন ধরে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা জিএমপি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চালকের লাইসেন্সের তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেস গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি তাকওয়া পরিবহনে জিপিএস ট্র্যাকার সংযুক্ত করা হয়েছে। গাড়িটি কোথায় কিভাবে যাচ্ছে ও কোন সড়ক ধরে চলছে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের মাওনা হাইওয়ে পুলিশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অনুরুপ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো: ইমান আলী।
তিনি বলেন, সম্প্রতি তাকওয়া পরিবহনে ছিনতাই ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা গাজীপুরের পরিবহন ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এটা পরিবহন সেক্টরের জন্য লজ্জাজনক। এ ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই সব চালক ও হেলপারের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও রাত ১১টার পর গাজীপুরের আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়ক তাকওয়া পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট শিবু নাথ সরকার, শ্রমিকলীগ নেতা মুজিবুর রহমান, মো. জালাল উদ্দিন, ফরিদ আহমেদ, শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল মাহমুদ আসিফ, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন পালোয়ান ও হাজী মোহাম্মদ হারেছ উদ্দিন প্রমুখ।