গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ডিম ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের জিগ্যাসাবাদ করছে পুলিশ।
গ্রেফতারের সময় এক আসামীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের গুলি ছুড়লে গুলিতে এক আসামী গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর এরশাদ নগরের গেদু মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (২২), টঙ্গীর দত্তপাড়ার মো: ইয়াকুব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম @ জাহাঙ্গীর (২০), টঙ্গীর আউচপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো: ইসমাইল হোসেন (৩৮) ও শেরপুর জেলার নকলা থানার চন্দ্রকোনা এলাকার মো: স্বপনের ছেলে সাকিব (২২) । ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটকদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর আউচপাড়া মেরিট স্কুলের সামনে রোববার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে নাম কাওসার আহমেদ সুমন ওরফে তানন (২৮) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তুহিন (২৬) নামের অপর একজন আহত হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন সোমবার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আবু সায়েম নয়ন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে আউচপাড়া মেরিট স্কুলের সামনে আডা দেয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাননকে হত্যা করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সালাউদ্দিন তুহিন নামে এক যুবক আহত হন।
ঘটনার পর উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) এর নেতৃত্বে ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানার ৪ টিম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) নেতৃত্বে ২ টি টীম কাজ শুরু করে।এর প্রেক্ষিতে টঙ্গী পশ্চিম এবং টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। রাতভর টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ইসমাইলসহ চারজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, মোবারককে নিয়ে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি রেল গেটে সহযোগীদের আটকে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সহযোগীরা মোবারককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মোবারককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি ছোরা ও একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন,ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।