গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর ডেগেরচালা এলাকার একটি মাদ্রাসার কিতাব শাখার এক শিশু ছাত্র (১২) কে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষক এবং উক্ত শিক্ষকের অপরাধ গোপনে সহযোগিতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আরও তিন শিক্ষকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়,মহানগরীর গাছা থানাধীন ডেগেরচালা এলাকার মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় গত (৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক আব্দুর রহমান ওরফে শান্ত ইসলাম (২২) মাদ্রাসার কিতাব শাখার আবাসিক এক শিশু ছাত্রকে বিস্কুট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। অভিযোগ পাওয়ার পর আসামী গ্রেফতার করার সময় অধ্যক্ষসহ অপর ৩ শিক্ষক পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহমান ওরফে শান্ত ইসলাম (২২। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (মোহতারিম) মো. ইসমাইল (৪৪), ফকরূল ইসলাম (২৭) ও হাবিবুর রহমান (৩২)।
গাজীপুর মহানগরর পুলিশের সহকারি কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) মো. আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ডেগেরচালা এলাকার মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় গত (৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আব্দুর রহমান (২২) মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার কক্ষে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে। পরে শিশুটি ঘটনাটি তার পিতাকে জানায়। শিশুটির পিতা মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষকদের নিকট এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে শিশুর পিতাকে আশ্বাস দিলেও তারা কৌশলে কালক্ষেপণ করেন, যাতে যৌন নির্যাতনের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির পিতা আবারও শিক্ষকদের কাছে গেলে তারা জানায়, পরীক্ষা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে শিশুটির পিতা কোনো প্রতিকার না পেয়ে গত সোমবার মধ্যরাতে বাদি হয়ে গাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা দায়ের করেন। পরে ওইরাতেই পুলিশ ধর্ষণকারী শিক্ষককে আটক করতে গেলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে বাধা দেয়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ ঐ চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, শিশু ছাত্রের পিতা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার চেয়ে কোনও প্রতিকার না পেয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় তৎসহ পেনাল কোডের ১৮৬/৩৫৩/২০২/১০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে গেলে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে অসহযোগিতা ও বাধা দেয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।