গণবাণী ডট কম:
কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আরও দুই রোহিঙ্গা আসামি শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে দেশীয় অস্ত্র-কার্তুজ ও খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
একই মামলার আরেক আসামি মো. হাসান (২০) নামে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গত ২৬ আগস্ট পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়।
পুলিশ সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিস সংলগ্ন পেছনের পাহাড়ে হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামিরা অবস্থান করছে। খবর পেয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে যায়। মামলার পলাতক আসামি আটক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় দুবৃর্ত্তরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ঁতে থাকে। এতে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ২৮ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা গুলি করতে করতে পাহাড়ের ভেতরের দিকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসাসহ গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গা ও আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর নিহতরা এ/পি নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি-ব্লকের এমআরসি নং-৪৫৯৫০, শেড নং-৮৩৮, ১নং রোমে অবস্থানকারী মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার বুচিদং হাসসুরাতার জমির আহমদের পুত্র মো. আব্দুল করিম (২৪) এবং একই ব্লকের এমআরসি নং-৩৫১২২, শেড নং-৮৮০/৬০, ১/২নং রোমে অবস্থানকারী মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার পুইমালীর সৈয়দ হোসেনের পুত্র নেছার আহমদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭) বলে সনাক্ত করে। তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, পুলিশের পলাতক আসামি আটক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হয়েছে। অস্ত্র ও কার্তুজসহ আটক দুই রোহিঙ্গা ডাকাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।