গণবাণী ডট কম:
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে গড়া রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ অপরাধীদের আস্তানা শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে র্যাব। যেকোনো ধরনের অপরাধীদের দমনে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলেও জানান অভিযানকারীরা।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শুক্রবার সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া টইংগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে ড্রোন নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ অভিযান চালায় র্যাব-১৫। অভিযানে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম প্রমুখ অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা শিবির ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকাকে ঘিরে সক্রিয় থাকা স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা উগ্রপস্থী সংগঠন, ডাকাত দল মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাণিজ্য চালিয়ে শরণার্থী ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জন-জীবনে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। আর এসব অপকর্মের নেপথ্য নায়ক হিসেবে রয়েছে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিম।
উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ অভিযান শেষে জানান, উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীসহ বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকার সংবাদ রয়েছে। তাই এসব অপরাধীদের আস্তানা সনাক্ত করতে প্রাথমিকভাবে এই ড্রোন অভিযান। এই জনপদে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করার আশ্বাস দেন তিনি।
অপরদিকে, শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রযুক্তি নির্ভর এ অভিযান সবার মাঝে আশা সঞ্চার করেছে। এটি অব্যহত থাকলে অপরাধীরা অতিসহসা কব্জায় আসবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।