গণবাণী ডট কম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা নিয়ে লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ নামক তৃতীয় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। বাংলা একাডেমিতে রবিবার বিকালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ এর উদ্বোধনের পর তিনি এ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন।
বইটিতে জাতির পিতার স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে চীনের একটি শান্তি সম্মেলনে প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । মনোজ বসু তার বইতে লিখেছিলেন, একজন যুবক প্রথম বাংলা ভাষা বক্তব্য দিলো। বাংলাভাষাকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়া, এটা ১৯৫২ সালেই প্রথম বঙ্গবন্ধু করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শুধু চীনে গিয়ে ঘুরে আসেননি । তিনি সেই সঙ্গে নয়া চীনের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা, তাদের ভিতরে কী পরিবর্তন আসলো বা সরকার কী কী করেছে, সেখানকার কৃষক শ্রমিক ও ছোট ছোট শিশু কী কী করে সব দেখেছেন। একজন সাধারণ মানুষ কী কী করেন তাও তিনি তুলে ধরেছেন। তিনি শুধু একজন পর্যটক ছিলেন না একজন সমালোচকও ছিলেন, শুধু পর্যটক ছিলেন না একজন পর্যবেক্ষকও ছিলেন। তিনি নারী ক্ষমতায়নের কথা বলেছিলেন। একটি রিকশায় ভ্রমণ করে সেটাও তিনি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অর্থাৎ পাকিস্তানের শাসকদের হাতে প্রায় আড়াই বছর বন্দি থাকার পর তিনি যখন চীনে যান এবং সব কিছু ভালোভাবে দেখেছেন । তখন তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন, অনুধাবন করেছেন। পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশী মানুষের যে দুরবস্থার কথা, সেগুলো তিনি তুলে ধরেছেন তার লেখনীতে।
বইটি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সবচেয়ে নজর কেড়েছে, একজন রাজনৈতিক নেতা। দেশে এতো অত্যাচার ভোগ করে চীনে গেলেন, সেখানে তিনি দেশের এসব অত্যাচারের কথা কাউকে বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যা হচ্ছে সেটাতো হচ্ছেই। আমরা তো বিদেশে এসে বদনাম করতে পারি না। কিন্তু আমরা এখন দেখি অনেকেই বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করতে গেলে আরও একটু উৎসাহ নিয়ে বলেন। যা না ঘটে তা একটু বেশি করে বলেন। এই প্রবণতাটা আমরা দেখি। আমি দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর আমার দেখা নয়া চীন বইটি নিয়ে কাজ করেছি। বইটি পড়ার পর আমি কয়েকবার চীনে গিয়েছি। আমি দেখি, এই বইয়ে তিনি চীন সম্পর্কে যে ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন, আজকের চীন ঠিক সেই জায়গায় উন্নতি করেছে।