গণবাণী ডট কম:
প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এটাই হলো বাস্তব কথা। ছেলেদের ম্যাচটা দেখিনি। আরো এলে ভালো হতো। ছেলেদের ম্যাচও উপভোগ করতাম। মেয়েদের খেলাটা খুব ভালো লেগেছে। একটি মেয়ের খেলা তো খুবই ভালো খেলেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলেও খেলবে।’ তিনি শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফাজিলাতুন্নেসা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ান দলের কিশোর কিশোরীদের হাতে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফাজিলাতুন্নেসা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে খুলনা বিভাগীয় নারী দল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা। নির্ধারিত সময়ের ২-২ গোলে ড্র থাকায় টাইব্রেকারে নিস্পত্তি হয় ম্যাচের।
সেমি-ফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছির খুলনা। অপর সেমি-ফাইনালে একমাত্র গোলে রংপুর বিভাগকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ঢাকা বিভাগ।
পুরস্কার বিতরণের আগে প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন মেয়েদের ফাইনাল। ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি স্টেডিয়ামে আসার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ছেলেদের ফাইনাল। দুর্দান্ত লড়াই। খুলনা ও ঢাকা বিভাগ থেকে ছেকে সেরাদের নিয়ে তৈরি ছিল মেয়েদের দল। তেমন ছেলেদের দল তৈরি হয়েছিল বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সেরাদের নিয়ে। তাইতো সেরাদের লড়াইও ছিল দেখার মতো। প্রধানমন্ত্রী দারুণ খুশি মেয়েদের পারফরম্যান্স দেখে।
ফাইনালে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন খুলনা বিভাগের স্বর্না রানি মন্ডল। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন একই দলের উন্নতি খাতুন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও লাভ করেছেন তিনি। সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগের সুস্মিতা বর্মন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পুরস্কার মঞ্চে উঠলেন তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তুমুল করতালি। মঞ্চের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী দু’দল কিশোর-কিশোরী।
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেবে, ট্রফি নেবে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সালাম দেবে- এমন অনুভূতি যেন সইছিল না একঝাঁক কিশোর-কিশোরীর। রেফারি, অফিসিয়ালদের প্রথমে ক্রেস্ট তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরে এক এক করে ফাইনালের চার দলের খেলোয়াড়দের গলায় মেডেল পরিয়ে দিলেন। সর্বশেষ দুই বিভাগের রানার্সআপ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। প্রতিটি পদক, প্রতিটি ট্রফি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পাওয়ার পরই কিশোর-কিশোরীদের সে কি উচ্ছ্বাস!
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণের পর বরিশালের ছেলে আর খুলনার মেয়েরা আনন্দে পারলে আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটো সেশনের সময়ও তাই। প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করে চলে যাওয়ার পর দুই চ্যাম্পিয়ন দলই ট্রফি নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উচ্ছাস ছিল দেখার মতো।