গণবাণী ডট কম:
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার এই লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানি ভাতা বৃদ্ধি ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নবাসনসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ করছে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তাগাছা গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মানকোন শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি মুক্তাগাছা উপজেলার সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রত্যেকের নামে রাস্তার নামকরণ করার ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মুক্তিযোদ্ধাসহ সবাইকে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন।’ প্রতিমন্ত্রী মুক্তাগাছা গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের কাতলশা গ্রামে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাসেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, বড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী শহীদ ভবতোশ দাশ ও শহীদ ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ এবং কাতলশা বদ্ধভূমি নামে তিনটি রাস্তার নাম ফলক উন্মোচন করেন। এ ছাড়াও তিনি বদ্ধভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক বাহিনী ও তার দোসররা কাতলশা গ্রামের ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। ওঁই শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে বর্তমান সরকার স্মৃতি সৌধটি নির্মাণ করেছে।