গণবাণী ডট কম:
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপির গানম্যান রেজাউল করীমের করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হয়েছে। আর এ কারণে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিমন্ত্রী ও তার দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা আইসোলেশনে রয়েছেন।
সোমাবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গানম্যানের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি গানম্যানের সুস্থ্যতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে বলেন, আজকে আমার গানম্যানের করোনা পজিটিভ এসেছে। সে গত দশদিনের ছুটি নিয়ে নয় দিন যাবত বাড়ীতে আছে । আমি তার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমি নিয়মিত অফিস করছি এবং নির্বাচনী এলাকায় জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করার এবং সকলকে সার্বিক সহযোগিতা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি । আলহামদুলিল্লাহ আমি সহ আমার পুরো পরিবার ভাল আছে । আমি সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি ।
এর আগে সোমবার (১ জুন) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রতিমন্ত্রীর গানম্যান পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই রেজাউল করিম করোনা আক্রান্ত হয়ছেনে। তবে, তার অবস্থা ভালো। ডাক্তাররে পরার্মশে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিননি। আজই তার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। সে কারণে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা যারা সার্বক্ষণিক থাকি তারা সবাই কোয়ারন্টোইনে আছি। প্রতিমন্ত্রী নিজেও কোয়ারন্টোইনে আছেন।
আরিফ বিল্লাহ আরো জানান, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকেই প্রতিমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সভা ও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই রেজাউল করীম। তিনি আরও জানান, প্রতিমন্ত্রী নিজেই তার গানম্যানের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা গাজীপুর মহানগরীতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন শুরু হলে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। এ ক্রাইসিসের শুরু থেকেই ব্যক্তিগতভাবে প্রায় লক্ষাধিক অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি। হিজড়া সম্প্রদায় থেকে শুরু করে সেলুন কর্মচারী, ফুটপাথ, রেলওয়ে স্টেশনের অসহায় ছিন্নমূল মানুষ, প্রতিবন্ধীসহ দলমত নির্বিশেষে সবাই জন্যই সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। এসব কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষের অনেক কাছে যেতে হয়েছে।