গণবাণী ডট কম:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কবিরাজী চিকিৎসার নামে তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভণ্ড কবিরাজের নাম ফারুক মিয়া (৩৬)। তিনি ধর্মপুর গ্রামের মৃত আ. কাদেরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন। গত এক মাস থেকে হাতুরে কবিরাজ ফারুক মিয়া তার বাড়িতে অবস্থান করে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন। কবিরাজের কথা মতো রাত ও দিনে ঝাড়-ফুঁকের সময় তিন কন্যা শিশুকে কবিরাজের চারপাশে নাচতে হতো।
এভাবে চিকিৎসা করে কবিরাজী দ্বারা মানুষের অঙ্গহানী ও বোবা বানানো যায় বলে ওই বাড়ির লোকদের মনে ভয় সৃষ্টি করেন। পরে এই ভয়কে পুঁজি করে কবিরাজ ফারুক পালাক্রমে ওই তিন শিশুকে ধর্ষণ করতে থাকেন। ঘটনা কাউকে বললে তাদের জীবনে বিয়ে হবে না এবং বিয়ে হলেও সাতজন স্বামী হবে বলে হুমকি দেন কবিরাজ।
এমন অবস্থায় এক শিশু তার পরিবারের কাছে কবিরাজের কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেয়। পরে একজন অভিভাবক বাদি হয়ে শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল্লাহিল জামান সাংবাদিকদের জানান, ওই তিন শিশুর অভিভাবক তিন জন। শিশুদের বয়স যথাক্রমে ১০, ১১ ও ১৩ বছর। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলে পাঠিয়েছে। শিশুদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।