গণবাণী ডট কম:
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কমপক্ষে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ বলেছে, ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, নগরীর শাহবাগ, সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের কাছে, মতিঝিল, খিলগাঁ, গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকা এবং পুরনো ঢাকার বংশাল- এই এলাকাগুলোতে দুপুরে একের পর এক বার্তা সংস্থা বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মোট ছয়টি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখনও হতাহতের কোন খবর পায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ওয়ালিদ হোসেন বলেছেন, আজ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচন চলছে। “সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বাসে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” আকস্মিকভাবে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তবে, পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “দুর্বৃত্তরা যাত্রী সেজে বাসে ওঠার পর প্রথমে তারা বাসের সিটে আসনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর বাসের বিভিন্ন অংশে আগুন দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এতে বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোন খবর এখনও আমরা পাইনি।”
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে বলে এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকায় নজরদারি এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের এমন ঘটনা শোনা যায়নি।
রাজধানীতে নয়াপল্টনসহ ১০টি স্থানে বাসে আগুন দেয়ার তথ্য জানা গেছে। এখন পর্যন্ত নয়াপল্টন, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব ও শাহবাগে বাসে আগুন দেয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল বাসে আগুন দিচ্ছে।