গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চীয় জেলা জয়পুরহাটে পুরানাপৈল রেলগেট এলাকায় রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও প্রত্যদর্শী সূত্র জানায়, জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে পুরানাপৈল রেলগেটে জয়পুরহাট থেকে হিলিগামী যাত্রীবাহী বাসকে রাজশাহী গামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলে বাসটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। বাসটিকে ছেচড়ে প্রায় ৫শ গজ দূরে টেনে নিয়ে যাবার পর লাইনচূত হয়ে ট্রেনটি আটকে যায়।
জয়পুরহাটের ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার সানাউল হক জানান, সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু ঘটে, আর আহত হন অন্তত পাঁচ জন। এরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।
খবর পেয়ে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসের ভেতর থেকে ৬ জন ও বাহিরে পড়ে থাকা ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং গুরুতর আহত আরো ২ নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হচ্ছেন সদরের আটুল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আলতাফের দু’পুত্র সারোয়ার হোসেন (৩২) ও আরিফুর রহমান রাব্বি (৩৪), হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান আলী (৩৮), চকবিলা গ্রামের দুদু কাজির ছেলে সাজু মিয়া (২৮) ও নওগাঁর রানীনগর বিজয়কান্তিগ্রামের গোড়া মিয়ার ছেলে বাবু (৩৫)।
জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত ও আহতের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। ট্রেন দুূর্ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পারবতীপুর থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন রওনা দিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।