গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় পুলিশের সাখে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক বায়েজিদ বাদী হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ১২০জনকে আসামী করে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গেল সোমবার বিকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেল পৌণে ৩টার দিকে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীলা এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম শামীম, সাইফুল ইসলাম টুটুল, নুরে আলম, ওসমান মোল্লা ও আমির মাহমুদ সাফা’র নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের অর্ধ শতাধিক নেতা কর্মী অংশগ্রহণ করে। পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিলে বিক্ষোভকারীদের মথ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক একপর্যায়ে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পথচারীরা বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ সর্টগানের গুলি ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ জয় (২৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ আরো অন্ততঃ ৫জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি ছুড়েছে। পুলিশের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ জয় (২৮) গুরুতর আহত হয়েছে। এঘটনায় যুবদল নেতা সাইদুল মাহমুদ (৩২), টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রিফাত রশিদ (২৩), মেট্রো সদর থানা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব (৪৫)সহ আরো অন্ততঃ ৬/৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভতির্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর পুলিশ বিনা উস্কানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
জিএমপি’র সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ ৮ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাঁধা, জনমনে আতংক সৃষ্টি ও জানমালের ক্ষতির অভিযোগে সদর থানার এসআই বায়েজিদ বাদী হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ১২০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।