গণবাণী ডট কম:
দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের মিয়া ভাই খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন মোটামুটি ভালো আছেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে। তিনি এখন হাত-পা নাড়ছেন।
ফারুকের স্ত্রী মিসেস ফারহানা ফারুক আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় এবং ফারুকের ছেলে রওশন হোসেন পাঠান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘সকলের প্রিয় ফারুক এখন হাত-পা নাড়তে পারছেন। খুব বেশি না হলেও তার উন্নতি মোটামুটি হয়েছে।’ এসময় তারা ফারুকের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর ফারুকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এ কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
নিয়মিত চেকআপের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যান ফারুক। চেকআপের মধ্যেই শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ১৩ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। এর দুই দিন পর খিঁচুনি ওঠায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৮ মার্চ কেবিনে ফিরে আসেন তিনি। ২১ মার্চ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দ্বিতীয় দফায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার রক্তে সংক্রমণের পাশাপাশি পাকস্থলিতে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ফারুকের জন্ম। বেড়ে উঠেছেন পুরান ঢাকায়। পৈতৃক নিবাস গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’র মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন ফারুক। তার উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘সখী তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘সূর্য গ্রহণ’ ইত্যাদি।
১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অনবদ্য নৈপুণ্যের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ফারুক। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন গুণী এই অভিনেতা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক।