গণবাণী ডট কম:
ছাগলে সবজি খেত নষ্ট করার অপরাধে খেতের মালিক ছাগল জবাই করে ভোজন সারেন। এ নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ছাগলের মালিক লোকজন নিয়ে খেতের মালিককে মারধর করলে মারা যান খেতের মালিক। এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে।
নিহত সবজি খেতের মালিকের নাম আজিজুর রহমান খান (৩৫)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামের মৃত আবুল হাশেম খানের ছেলে।
ছাগলের মালিক ও মারধরকারীর নাম মোঃ মোস্তফা। তিনি একই গ্রামের মোঃ আজহার ইসলামের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১৩ই এপ্রিল) সকালে কালীগঞ্জের জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে মোস্তফার একটি ছাগল প্রতিবেশী আজিজুর রহমানের সবজি খেতে ঢুকে কিছু সবজি খেয়ে ফেলে। পরে আজিজুর ধাওয়া দিয়ে ছাগলটি পারিয়ে যেতে দৌড় দেয়। এসময় ছাগলটি ধরতে পিছু ধাওয়া করে পড়ে গিয়ে আহত হন আজিজুর। এ কারণে রেগে গিয়ে ছাগলটি ধরে আটক করে রাখে। মঙ্গলবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে ছাগলটি জবাই করে ভোজনের আয়োজন করা হয়।
পরের দিন বুধবার রাতের ছাগল জবাই করে খেয়ে ফেলার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে আজিজুর তার বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় একটি বাজারে যাওয়ার পথে চাগলের মালিক মোস্তফা তাকে আটকায়। এসময় ছাগল জবাই করে খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মোস্তফা ও আজিজুরের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তফা তার লোকজন নিয়ে আজিজুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আজিজুরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে ছাগলের মালিক মোঃ মোস্তফাসহ আরও ৬জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ১০) দায়ের করেছেন। হামলাকারী ৬জনসহ জড়িত বেশ কয়েকজনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সকলেই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।