গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে ছিনতাই হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরীর (ডিএমপি) তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকায় একটি গরুর খামার থেকে ১৫টি গরু ও ২টি মহিষ উদ্ধার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ডিএমপি তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকার আরব আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৪৩) ও জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২৫)।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ বিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার জানান, গেল সোমবার (২৪ মে) ভোররাতে রাজশাহী সিটি হাট এলাকা থেকে মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ১৬টি গরু ও ২টি মহিষবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট-১৪-৫১২৪) মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে একটি গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মালিক ট্রাকটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ফ্লাইওভার ব্রীজের পূর্বপার্শ্বে দাঁড় করায়। এ সময় একটি মাইক্রোবাস যোগ ৭-৮ জনের একদল ডাকাত ট্রাকের সামনে দাঁড়ায় এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয়বীতি দেখিয়ে ট্রাকে থাকা সকলকে মারধর করে। পরে আহত অবস্থায তাদের হাত-পা বেঁধে মেইক্রোবাসে তুলে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সড়কের পাশে ফেলে চলে যায়। এ সময় গরু-মহিষ বোঝাই ট্রাকটি ডাকাত দলের এক সদস্য চালিয়ে নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, গরুসহ ট্রাক ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ আমির হোসেনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন সোর্সের খবরের ভিত্তিতে ঢাকার তুরাগ থানার দিয়াবাড়িস্থ জনৈক আবুল কাশেমের গরুর খামারে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে ১৫টি গরু ও ২টি মহিষ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই ফার্মের মালিক মোঃ আবুল কাসেম ও মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ছিনতাই হওয়া ১৬টি গরুর মধ্যে একটি গরু পরে মারা গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে জেলার কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা (নং ৪৩) দায়ের কয়েছে। আজ মঙ্গলবার আসামিদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানী শেখ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আল মামুন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার আরো জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গরু চুরি ও ডাকাতি রোধে জেলায় সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হচ্ছে। গাজীপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত অন্য জেলা গুলোর সঙ্গেও সমন্বয় করা হচ্ছে। এছাড়া যে সব খামারিরা চোরাই ও ডাকাতি করা গরু ক্রয় করে থাকেন তাদের উপরও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
মন্তব্য