গণবাণী ডট কম:
বর্ষার শুরুতে এক বেলার বর্ষণে গাজীপুর মহানগরীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেশ কিছু অংশসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নগরবাসী ও মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহণের যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহানগরীতে গড়ে ওঠেছে অপরিকল্পিত স্থাপনা, বাসা-বাড়ী, শিল্প কল কারখানা। একারণে এ নগরীরর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি কোথাও। অনেক এলাকায় পয়নিস্কাশনের কোন ড্রেন নেই। কিছু এলাকায় সড়ক-মহাসড়কের ফুটপাথের নীচ দিয়ে ড্রেন থাকলেও বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তা-ই ড্রেন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পায়ে হাঁটার জন্য চার ফুট রাস্তার দুই পাশে পাকা বাড়ি, মাঝখানে রাস্তার নিচে দুই/চার ফুটের ড্রেন এবং ড্রেনের ওপর স্লাব বিছিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত নগর কর্তৃপক্ষ ৫৭০ কিলোমিটার ড্রেণ নির্মাণ করেছে। অপরিকল্পিতভাবে এসব ড্রেন নির্মানের কারণে পানি গড়ায় না। কোথাও রাস্তা থেকে উচু, আবার কোথাও ড্রেনের পানি প্রবাহের ঢাল একমুখী না হওয়ায় বা তলদেশ উচু নীচু হওয়ায় এসব ড্রেন দিয়ে পানি নামে না। ফলে অনেক এলাকায় ড্রেনের পানি রাস্তায় নেমে আসার কারণে বর্ষা মৌসুমে শুরুতে একদিনের বৃষ্টিতেই মহানগরীর ভোগড়া, চান্দনা চৌরাস্তা, সড়ক মহাসড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।। কোথাও ড্রেনের পানি নেমে যাবার ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা আবর্জনার পচা দুর্ঘন্ধযুক্ত বর্জ্য পানি রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। মহানগরীতে ড্রেন নির্মানের প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়নে দীর্ঘসুত্রিতার কারণে এর সুফল পেতে আশাবাদী হতে পারছেন না নগরবাসী।
মরার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে এই বর্ষার শুরুতে নগরবাসী ও মহাসড়কের যাত্রীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চলমান বিআরটি প্রকল্প। মহা উন্নয়ন কাজের কারণে মহাসড়কে, ফুটপাথে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত, খানা-খন্দক। মহাসড়কের পাশাপাশি এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, ড্রেন নির্মাণ কাজ। অনেক এলাকায় প্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, কোথাও চলমান রয়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেনের ম্যানহোলের ঢাকনা নেই। ফলে পানি জমে এসব ম্যান হোল পথচারীদের জন্য বিপদজনক হয়ে পড়েছে। আবার বিআরটি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাথে এ কাজের কোন সমন্বয় নেই। ফলে মহাসড়কে জমে থাকা পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের ওপর প্রায় হাঁটু পানি জমে গেছে। একারণে মহাসড়কে দিনভর যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ।
এবিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তো মো: আমিনুল ইসলাম জানান, সিটি কর্পোরেশনের যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির খবর আমরা পাচ্ছি সেসব এলাকায় জরুরীভাবে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে। তাছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জমে থাকা পানি নিস্কাশনের দায়িত্ব বিআরটি প্রকল্পের। মহাসড়কের কাজের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।