গণবাণী ডট কম:
আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আজ মঙ্গলবার পুনরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আনা হয়েছে। এর তিনি ময়মনসিংহের কারাগারে ছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার আবু সায়েম জানান, কথিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে গাজীপুরের গাছা থানায় ১টি ও বাসন থানায় ১টি, ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানায় ২টি, তেজগাঁও থানা ১টি, পল্টন থানায় ১টি, ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় ১টি রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে একটি মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে তাকে গাজীপুর কারাগার থেকে ঢাকা পাঠানো হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহের কারাগারে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ময়মনসিংহের কারাগার থেকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগার-২ এ ফেরত আনা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বোর্ড বাজার কলমেশ্বর এলাকায় এক মাহফিলে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি রাষ্ট্র তথা সরকার বিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানী ও বিদ্বেষমূলক কথা বলেন। তার এসব বক্তব্য ফেসবুক, ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোডের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) গত ৭ এপ্রিল শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। তারপর র্যা বের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে প্রথম কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত ২০ এপ্রিল গ্রেফতারকৃত মাদানীকে এ মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরো জানান, নেত্রকোনা থেকে আটক করার সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও জব্দকৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উক্ত মোবাইল ফোনে
আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ‘এডাল্ট কনটেন্ট’ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পেয়েছেন। এসব এডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়।