গণবাণী ডট কম:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ূন আখতার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ লাভ করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেয়। এ নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর। পরে তিনি তিনি গত বুধবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি অফিসে যোগদান করেছেন।
ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে ১৯৮৭ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০২ সালে একই বিভাগে অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ভূতত্ত্ববিদ ও একজন খ্যাতনামা ভূবিজ্ঞানী হিসেবে দেশে বিদেশে সুপরিচিত। ড. হুমায়ুন Earth Quake Geology, Geodetic GPS. Structural Geology, Tetonics, Thermoluminescnce Age dating, Field Geology, Photogeology and Remote Sensing as well as in Engineering Geology and Natural Hazards বিশেষজ্ঞ। তিনি নিউইয়র্ক এর কলম্বিয়া ইউনিভার্র্সিটির সাথে দীর্ঘ দিন ল্যামন্ট ডোহার্টি আর্থ অবজার ভেটরীতে গবেষণায় সংযুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জার্মানী ও ভারতে ভূতত্ত্ব গবেষণার সাথেও সংযুক্ত ছিলেন। ড. হুমায়ুন আখতার ভিজিটিং সায়েনটিস্ট হিসেবে ল্যামন্টডোহাটি আর্থ অবজারভেটরীতে ২০০৩ সন থেকে সংযুক্ত আছেন। তিনি ইধহমষধ চওজঊ (ঘঝঅ চওজঊ চৎড়লবপঃ) গবেষণা টিমে হিমালয়ান ও বার্মিজ ডিফরমেশন ফ্রন্টে গবেষক ছিলেন। ড, হুমায়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অবজারভেটরী ও ছয়টি স্থায়ী সিসমিক স্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি ২৭ টি পোর্টেবল সিসমোগ্রাফ এবং ৩০টি জিওডেটিক জিপিএস স্টেশন সিস্টেমের প্রতিষ্ঠাতা। ড. হুমায়ুন দেশে সিডিমেন্ট সেমপল রিপোজিটরী এবং ডাটা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আর্থ কোয়েক জিওলজি আর্থ কোয়েক নেটওয়ার্ক মেইনটেনেন্স, প্যালিও সিসমোলজি, আর্থ কোয়েক হ্যাজার্ড এ্যানালাইসিস, মাল্টিচ্যানেল সিসমেটিক ডাটা প্রসেসিং বিশেষজ্ঞ।
ড. হুমায়ুন ১৯৮৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর অসংখ্য গবেষণা (৫০টির অধিক) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জিও সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ভূতত্ত্ব বিষক অজ¯্র আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালা পরিচালনা করেন। তিনি পেট্রোবাংলার সহকারী জিওলজিস্ট ও জাতীয় জাদুঘরের রিসার্চ অফিসার ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান, শহিদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর ও ভূতত্ত্ব বিভাগের ডেলটা স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ছিলেন।
তিনি জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ওসিনোগ্রাফিক এবং ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউটের জীবন সদস্য। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দি এ্যডভ্যান্সমেন্ট অব সায়েন্স, বাংলাদেশ সোসাইটি অব জিও ইনফরমেটিকস, ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইনস্টিটিউশন ফর সিসমোলজি ও ইউনিভার্সিটি নাভাস্টার কনসর্টিয়াম আমেরিকার এফিলেটেড সদস্য।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই কন্য সন্তানের জনক।