গণবাণী ডট কম:
করোনা মহামারী রোধকল্পে গাজীপুরে গত ২১ জুন থেকে চলমান লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ নানা রকম সমস্যায় দিনযাপন করছেন। তারপরে চলছে সারাদেশের কঠোর লক ডাউন। লকডাউনের কারণে জেলা বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরে থেকে খাদ্য সংকটে পড়েছেন তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের নিজস্ব উদ্যোগে সরকারি সহায়তায় বাইরে খাদ্য কষ্টে থাকা এসব মানুষদের গোপনে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বিভিন্ন সূত্রে যেসব মানুষের খাদ্যের সংকটের কথা জানতে পারছেন, তিনি রাতের আধারে সেইসব ব্যক্তি ও পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। একাজে জেলা প্রশাসককে সহায়তা করছেন জেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণ। তারা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য সঙ্কটে থাকা মানুষদের তালিকা তৈরী করে ঐসব ব্যক্তির ঘরে ঘরে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গোপনে মাইক্রোবাসযোগে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে চলাকালেও জেলা প্রশাসক ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুরূপভাবে প্রায় ৩০ হাজার অসহায়, কর্মহীন ও খাদ্য সংকটে থাকা পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন।
এবছরও তিনি সরকার ঘোষিত লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে সরকারের সহায়তার পাশাপাশি যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়, সেজন্য তিনি দুটি হট লাইন চালু করেছেন। হট লাইন নাম্বার দুটি হল; ০২-৪৯২৭৩০৩৫ এবং ০১৭৮০০৮১৮৪৬।
এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নির্দেশনা রয়েছে একজন মানুষও যাতে খাদ্যের কষ্টে না থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার আলোকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আমরা যাদের খাদ্য সংকট অথবা সমস্যার কথা জানতে পারছি তালিকা করে গোপনে এবং রাতের আধারে তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি জেলায় যে কোন স্থানে কারো খাদ্য সমস্যা থাকলে অথবা এরকম কোন তথ্য থাকলে উল্লেখিত হট লাইন নাম্বার গুলোতে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।